কম সময়ে ভালোভাবে পড়া আয়ত্ত করা ও পড়ার প্রতি অনীহা দূরীকরণ কৌশল
“পড়া মনে থাকে না বা ভুলে যাই” এই অভিযোগটি কম বেশি সবারই থাকে । ভুলে যাওয়ারই কথা মানুষতো আর রোবোট না! তো আসল টপিকে আসি! আমি কিছু ক্যাটাগরিতে কিছু বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত ও অভিজ্ঞতার আলোকে পোস্টটা লিখবো। আশা করি সাথেই থাকবে ৷ চলো শুরু করা যাক…
পড়াকে ভয় পাওয়াঃ
সবার প্রথমেই এ বিষয় নিয়ে আলোচনার কারণ হচ্ছে আমাদের বিদ্যাপীঠ এর মাস্টার মশাইরাই এ ভয়ের শুরু করে দিয়েছে। মূলত কিছু মাস্টার মশাইরা কোনো একটা টপিক নিয়ে আলোচনার আগেই বলে দেন “আজকের এ টপিকটা কিন্তু কঠিন”। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মনে একটা ভয়ের জন্ম নেয়। সেখান থেকেই শুরু হয় অনীহা নামক ক্যান্সারের। হ্যাঁ এটা ক্যান্সারের মতই যার ফলে পড়াবিমুখ নামের রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আমরা কিছু বিষয়কে কঠিন মনে করে সেটাকে কঠিনের কাতারেই ফেলে দেই। যার ফলে আস্তে আস্তে আমরা সেটা থেকে দূরে সরে যাই।
চলো এই রোগে ওষুধ প্রয়োগ করা যাক।
প্রথমেই তুমি মনে করো…
- এমন কঠিন কিছু বইয়ে দেওয়া হয় নাই, যেটার জন্য তুমি উপযোগী নও৷
- সবকিছু সহজভাবে নাও।
- কে কি বলছে সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দাও। মনে করবে চেষ্টা করলে সবই হবে।
এবার কথা বলবো কিভাবে কঠিন জিনিস আয়ত্ত করবে।
সহজে পড়া আয়ত্তের কিছু কৌশলঃ
দাগিয়ে পড়াঃ বিভিন্ন কালারের মার্কার পেন ব্যবহার করা। এটাও পড়া মনে রাখতে বেশ কার্যকর। মার্ক করার ফলে কোন শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়।
ছন্দ বানানোঃ পড়ার সময় এমন কিছু অদ্ভুদ জিনিস হাজির হয়। যেগুলো মনে রাখা যায় না। অথবা মনে রাখলে অন্য পড়া ভুলে যাওয়া হয়। তো ছন্দ বানিয়ে পড়লে তা সহজেই মনে থাকে৷
ছবি একে ফেলোঃ কিছু ছক বা চার্ট মনে রাখতে হয় সেগুলো ছবি একে মনে রাখতে পারো।
শব্দের প্রথম অক্ষর দিয়ে মনে রাখাঃ অনেক বড় একটা লাইন মনে রাখার জন্য, ওই লাইনের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের প্রথম অক্ষর দিয়ে আরেকটা ওয়ার্ড বানিয়ে ফেল৷ তাহলে দেখো লাইনটা মনে রাখাটা কত সহজ।
বইকে ভাগ করোঃ আমাদের অনেক বড় বড় বই থাকে সেগুলো দেখেও এক প্রকার অনীহা জন্মায়৷ তাই বইগুলো অধ্যায় ভিত্তিক নাহলে কোর্সভিত্তিক ভাগ করে ফেলো। তাহলে দেখবে পড়ার প্রতি অনীহা আসবে না সহজেই।
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ফটোকপিঃ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধায়ের পাতা আলাদাভাবে ফটোকপি বা হাতে লেখে শিট বানিয়ে নাও। তাহলে দেখবে পড়তে ভালো লাগবে।
সূত্রগুলো আলাদাভাবে নোট করোঃ বইয়ের বিজ্ঞান বা গণিতের সূত্রগুলো আলাদাভাবে লিখে রাখো। পরীক্ষার আগে সেগুলো একবার চোখ বুলিয়ে গেলে সেগুলো আয়ত্তে থাকবে।
মেইন বই ও গাইড একসাথেঃ মেইন বই ও গাইড একসাথে পাশাপাশি রেখে পড়। মনে করে একটা অধ্যায়ের টপিক পড়ছো, ওই টপিকের এমসিকিউ গুলো মেইন বইয়ে দাগিয়ে নেও। তাহলে আর পরীক্ষার আগে আগে গাইড দেখতে আলাদা কষ্ট করতে হবে না। আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তো, গাইড থেকেই স্যাররা হুবহু তুলে দেয়।
তো আজকের মত এ পর্যন্তই। পোস্ট তোমার বিন্দুমাত্র উপকার করতে পারলে একটা কমেন্ট করে যেও। আর ভালো থেকো। আল্লাহ হাফিজ!