মানব জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় ও মানুষের চূড়ান্ত গন্তব্য | Six Stages of Life in Islam
কুরআন মাজিদ এবং হাদিস পড়লে জানা যায়, মানব ‘জীবন’-এর (রূহের) সৃষ্টি থেকে নিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছা পর্যন্ত মোট ছয়টি স্তর বা অধ্যায় রয়েছে। একটি অধ্যায় থেকে আরেকটি অধ্যায়ে রূহ স্থানান্তরিত (ইনতেকাল) হয়।
Contents
মানব জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়গুলো হলো:
- রূহের জগত
- মাতৃগর্ভ
- পৃথিবীর জীবন
- অন্তরাল জগত (বারযাখ)
- কিয়ামতকাল ও হাশর
- জান্নাত বা জাহান্নাম
মানব জীবনের এই ছয়টি অধ্যায়ের মধ্যে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পৃথিবীর এ জীবনটাকে কুরআনে বলা হয়েছে ‘হায়াতুত দুনিয়া’ বা পার্থিব জীবন। আর পৃথিবী থেকে জীবনের ইনতেকালের পরবর্তী তিনটি অধ্যায়কে বলা হয়েছে ‘আখিরাত’ ।
মানব জীবনের প্রথম অধ্যায়: রূহের জগত
আমরা মানব জীবনের যে ছয়টি অধ্যায়ের কথা আলোচনা করছি, এ অধ্যায়গুলোর কথা কুরআনে সুস্পষ্ট আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়টি সম্পর্কে সূরা আরাফের ১৭২ আয়াতে বলা হয়েছে;
وَ اِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُهُوۡرِهِمۡ ذُرِّیَّتَهُمۡ وَ اَشۡهَدَهُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ۚۛ شَهِدۡنَا ۚۛ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ هٰذَا غٰفِلِیۡنَ
অর্থ: স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠ হতে তাদের বংশধরদের বের করলেন আর তাদেরকেই সাক্ষী বানিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ; এ ব্যাপারে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি।’ (এটা এজন্য করা হয়েছিল) যাতে তোমরা ক্বিয়ামাতের দিন না বল যে, ‘এ সম্পর্কে আমরা একেবারেই বে-খবর ছিলাম’।
সূরাঃ আল-আ’রাফ | Al-A’raf | سورة الأعراف – আয়াতঃ ১৭২
অর্থাৎ আদম সন্তানদের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানদের আল্লাহ বের করে এনেছেন এবং তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের থেকে অংগিকার নিয়েছেন। এ থেকে বুঝা যায় সব মানুষের ‘জীবন’ পূর্বেই একই সময় সৃষ্টি করা হয়েছে। রূহগুলো রূহের জগতে রয়েছে।
মানব জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়: মাতৃগর্ভ
মানব জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় অর্থাৎ মাতৃগর্ভ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
وَ نُقِرُّ فِی الۡاَرۡحَامِ مَا نَشَآءُ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ثُمَّ نُخۡرِجُکُمۡ طِفۡلًا
অর্থ: আর আমি যাকে ইচ্ছে করি তাকে একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত মাতৃগর্ভে রাখি, অতঃপর তোমাদেরকে বের করে আনি শিশুরূপে
সূরাঃ আল-হজ্জ | Al-Hajj | سورة الحج আয়াতঃ ০৫
অন্যত্র মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
وَ اللّٰهُ اَخۡرَجَکُمۡ مِّنۡۢ بُطُوۡنِ اُمَّهٰتِکُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا ۙ وَّ جَعَلَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ۙ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ
অর্থ: আর আল্লাহ তোমাদেরকে বের করেছেন, তোমাদের মাতৃগর্ভ থেকে এমতাবস্থায় যে, তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শ্রবণশক্তি, চক্ষু ও অন্তর। যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর।
সূরাঃ আন-নাহাল | An-Nahl | سورة النحل আয়াতঃ ৭৮
মানব জীবনের তৃতীয় অধ্যায়: পৃথিবীর জীবন
মানব জীবনের তৃতীয় অধ্যায় অর্থাৎ পৃথিবীর জীবন তো আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এ জীবনটাকে কুরআনে বলা হয়েছে ‘হায়াতুদ দুনিয়া’। দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে বহু আয়াত কুরআন মাজিদে রয়েছে। কুরআন বলছে;
وَفَرِحُوا بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا مَتَاعٌ
অর্থ: আর তারা দুনিয়ার জীবন নিয়ে উৎফুল্লতায় আছে, অথচ আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন খুবই নগণ্য।
সূরাঃ আর-রাদ | Ar-Ra’d | سورة الرعد – আয়াতঃ ২৬
وَ مَا هٰذِهِ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَهۡوٌ وَّ لَعِبٌ ؕ وَ اِنَّ الدَّارَ الۡاٰخِرَۃَ لَهِیَ الۡحَیَوَانُ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ
অর্থ: আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত!
সূরাঃ আল-আনকাবূত | Al-Ankabut | سورة العنكبوت – আয়াতঃ ৬৪
মানব জীবনের এই তৃতীয় অধ্যায় দৈহিক জীবন। এখানে জীবনটাকে প্রয়োজনীয় উপাদান উপকরণসহ দেহের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে কর্মক্ষম এবং পূর্ণ সচেতন (full conscious) করে দেয়া হয় । জীবনের এই দৈহিক রূপের সূচনা হয় দ্বিতীয় অধ্যায় অর্থাৎ মাতৃগর্ভ থেকেই।
পৃথিবীর জীবনের অবসান ঘটে দৈহিক মৃত্যুর মাধ্যমে
তৃতীয় অধ্যায় থেকে চতুর্থ অধ্যায়ে ‘জীবন’ স্থানান্তরিত হয় দৈহিক মৃত্যুর মাধ্যমে। অর্থাৎ দেহ থেকে মানুষের রূহ, আত্মা বা জীবনকে আলাদা করে ফেলা হয় এবং তা বারযাখে স্থানান্তরিত করা হয়। এর ফলে মানব দেহের মৃত্যু হয়। এতে মানুষের জীবন পৃথিবী থেকে সম্পর্কহীন হয়ে যায় । এই দৈহিক মৃত্যু প্রতিটি মানুষের জন্যে অবধারিত। প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং হবেই। মৃত্যু থেকে পালাবার কোনো সুযোগ নেই।
এ প্রসংগে কুরআন মজিদে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে:
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ
অর্থ: “প্রত্যেক ব্যক্তিকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।”
সুরাঃ আলে-ইমরান-৩:১৮৫;(২১:৩৫; ২৯:৫৭)
اَیۡنَ مَا تَکُوۡنُوۡا یُدۡرِکۡکُّمُ الۡمَوۡتُ وَ لَوۡ کُنۡتُمۡ فِیۡ بُرُوۡجٍ مُّشَیَّدَۃٍ
অর্থ: তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবে, যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর।
সূরাঃ আন-নিসা | An-Nisa | سورة النساء – আয়াতঃ ৭৮
মানব জীবনের চতুর্থ অধ্যায়: বারযাখ জগত
দেহ থেকে বের করার পর মানুষের আত্মাকে যে জগতে ইনতেকাল (স্থানান্তর) করা হয়, সে জগতের নাম আলমে বারযাখ। বারযাখ মানে আড়াল বা অন্তরাল। ‘আলমে বারযাখ মানে- ‘অন্তরাল জগত। এ জগত পৃথিবীর জীবন এবং পুনরুত্থান – এ দুয়ের মধ্যবর্তী অন্তরালে অবস্থিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَ مِنۡ وَّرَآئِهِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ
অর্থ: যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বারযাখ।
সূরাঃ আল-মুমিনুন | Al-Mu’minun | سورة المؤمنون – আয়াতঃ ১০০
মানব জীবনের পঞ্চম অধ্যায়: কিয়ামতকাল ও হাশর
অতপর আসবে মানব জীবনে পঞ্চম অধ্যায়। তখন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। পৃথিবীটা রূপান্তরিত হবে একটা উন্মুক্ত সমতল প্রান্তরে। কুরআনে এই সময়কালের নাম দেয়া হয়েছে (কিয়ামত কাল)। তারপর সেই নবরূপ পৃথিবীর বুকেই অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে সমবেত হবে সমস্ত মানুষ। মহান আল্লাহ ﷻ বলেন:
وَ یَوۡمَ نُسَیِّرُ الۡجِبَالَ وَ تَرَی الۡاَرۡضَ بَارِزَۃً ۙ وَّ حَشَرۡنٰهُمۡ فَلَمۡ نُغَادِرۡ مِنۡهُمۡ اَحَدًا
অর্থ: (সেদিনের কথা চিন্তা কর) যেদিন আমি পর্বতমালাকে চালিত করব, আর পৃথিবীকে দেখতে পাবে উন্মুক্ত প্রান্তর আর তাদের সববাইকে আমি একত্রিত করব, কাউকেও বাদ দেব না।
সূরাঃ আল-কাহফ | Al-Kahf | سورة الكهف – আয়াতঃ ৪৭
মানব জীবনের এই পঞ্চম অধ্যায়েই বিচার এবং ফায়সালা করা হবে- কে সফল হলো, আর কে হলো ব্যর্থ? কে পুরস্কৃত হবে, আর কে হবে লাঞ্ছিত? কে জান্নাতের অধিকারী হবে, কে নিক্ষিপ্ত হবে জাহান্নামে? এই বিচার ফায়সালা অনুষ্ঠিত হবে নতুনভাবে সজ্জিত সমতল পৃথিবীর বুকেই।
মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেন:
وَ اَشۡرَقَتِ الۡاَرۡضُ بِنُوۡرِ رَبِّهَا وَ وُضِعَ الۡکِتٰبُ وَ جِایۡٓءَ بِالنَّبِیّٖنَ وَ الشُّهَدَآءِ وَ قُضِیَ بَیۡنَهُمۡ بِالۡحَقِّ وَ هُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ
অর্থ: আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
সূরাঃ আয-যুমার | Az-Zumar | سورة الزمر – আয়াতঃ ৬৯
وَ وُفِّیَتۡ کُلُّ نَفۡسٍ مَّا عَمِلَتۡ وَ هُوَ اَعۡلَمُ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ
অর্থ: প্রত্যেকের কাজের পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। লোকেরা যা করে তা তিনি খুব ভালভাবেই জানেন।
সূরাঃ আয-যুমার | Az-Zumar | سورة الزمر – আয়াতঃ ৭০
নিখুঁত বিচারের জন্যে প্রত্যেকের সমস্ত কর্মকাও রেকর্ড করা হয় (আমাদের অভিজ্ঞতায় যেমন বর্তমানকালে আমরা CC Camera. | Hidden Camera, অডিও-ভিজুয়াল ইত্যাদির মত প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে জানি )। রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয় কিতাবে (যেমন ভিসিডি, ডিভিডি, হার্ডডিস্ক, গুগল ড্রাইভ, স্কাইড্রাইভ ইত্যাদিতে আমরা ডাটা সংরক্ষণ করে রাখি)। বিচারের দিন এই রেকর্ডসমূহ উন্মুক্ত করা হবে, এবং সেগুলোর সূক্ষ্মতা এবং সক্ষমতা আমাদের চিন্তারও বাইরে। মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেন:
وَ کُلَّ اِنۡسَانٍ اَلۡزَمۡنٰهُ طٰٓئِرَهٗ فِیۡ عُنُقِهٖ ؕ وَ نُخۡرِجُ لَهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ کِتٰبًا یَّلۡقٰىهُ مَنۡشُوۡرًا
অর্থ: আর আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার ঘাড়ে সংযুক্ত করে দিয়েছি এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য আমি বের করব একটি কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত।
সূরাঃ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) | Al-Isra | سورة الإسراء আয়াতঃ ১৩
اِقۡرَاۡ کِتٰبَکَ ؕ کَفٰی بِنَفۡسِکَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡکَ حَسِیۡبًا
অর্থ: (তাকে বলা হবে) ‘পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তোমার হিসাব নেয়ার ব্যাপারে তুমিই যথেষ্ট।’
সূরাঃ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) | Al-Isra | سورة الإسراء আয়াতঃ ১৪
۷ فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَهٗ
وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَهٗ ۸
অর্থ: সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলে, সে তা দেখতে পাবে। এবং কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে, তাও সে দেখতে পাবে।
সূরাঃ আয-যিলযাল | Az-Zalzala | سورة الزلزلة আয়াতঃ ৭-৮
হাশর ময়দানেই মানুষকে দুই দলে বিভক্ত করা হবে: ১. অপরাধী পাপিষ্ঠ দল এবং ২. পুণ্যবান দল। কুরআন বলছে;
وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ یَوۡمَئِذٍ یَّتَفَرَّقُوۡنَ
অর্থ : যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন মানুষ (দুই ভাগে) বিভক্ত হয়ে যাবে।
সূরাঃ আর-রুম | Ar-Rum | سورة الروم – আয়াতঃ ১৪
وَ امۡتَازُوا الۡیَوۡمَ اَیُّهَا الۡمُجۡرِمُوۡنَ
অর্থ: (সে দিন বলা হবে) ‘হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
সূরাঃ ইয়াসীন | Ya-Sin | سورة يس – আয়াতঃ ৫৯
জীবনের শেষ অধ্যায়ে যাত্রা: জান্নাত বা জাহান্নাম
জীবনের পঞ্চম অধ্যায়ে বিচার ফায়সালা শেষে পৃথিবীর জীবনের কৃতকর্মের ফল ভোগ করার জন্যে, সব মানুষকে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের জীবনের শেষ ও চূড়ান্ত অধ্যায়ে। অপরাধীদের ফেলে দেয়া হবে জাহান্নামে। আর আল্লাহভীরুদের পুরস্কৃত করা হবে জান্নাত দিয়ে;
وَ سِیۡقَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِلٰی جَهَنَّمَ زُمَرًا
অর্থ: আর কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
সূরাঃ আয-যুমার | Az-Zumar | سورة الزمر – আয়াতঃ ৭১
وسيق الدين القواربهم إلى الجنة أمراء
অর্থ: আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে
সূরাঃ আয-যুমার | Az-Zumar | سورة الزمر – আয়াতঃ ৭৩
মানব জীবনের শেষ অধ্যায় অর্থাৎ জান্নাত এবং জাহান্নাম হবে চিরস্থায়ী। মহান আল্লাহ এ খবর মানুষকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন;
وَ مَا هٰذِهِ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَهۡوٌ وَّ لَعِبٌ ؕ وَ اِنَّ الدَّارَ الۡاٰخِرَۃَ لَهِیَ الۡحَیَوَانُ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ
অর্থ: আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত!
সূরাঃ আল-আনকাবূত | Al-Ankabut | سورة العنكبوت – আয়াতঃ ৬৪
মানুষের জীবন মৃত্যু যেমন তার নিজের ইচ্ছাধীন নয়, বরং আল্লাহর হাতে তেমিন পুনরুত্থান, বিচার, পুরস্কার এবং শাস্তির বিষয়টিও সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর হাতে। এর প্রতিরোধ মানুষের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়।
তাই মৃত্যু পরবর্তী জীবনের মুক্তি ও সাফল্যের জন্যে পার্থিব জীবনকে পুরোপুরি নিয়োজিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ।