কখনই নিজেকে কারো চেয়ে ছোট মনে করবেনা। মানুষ বড় হয় তার মেধায়,মননে তার ব্যবহারে। তুমি নিজেকে যদি নিজের চোখে বড় মনে করতে না পারো, নিজেকে যদি সম্মান দিতে না পারো তাহলে অন্য কেউ তোমাকে সম্মান দিবেনা। তারপর ও যদি তোমার মনে হয় তুমি কিছু নিয়ে হতাশায় আছ কিংবা খাপ খাওয়াতে পারছেনা তাহলে ডিপার্টমেন্ট এর কোনও বিশ্বাসযোগ্য কাছের সিনিয়রের কাছে কিংবা শিক্ষকের কাছে তোমার ব্যাপারগুলোকে খুলে বলতে পারো। এছাড়াও প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়েই সাইকোলজিক্যাল সমস্যার জন্য স্টুডেন্টস কাউন্সিল রয়েছে।
সবশেষে বলা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সময়টুকু তোমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই সময়টুকু তুমি যেভাবে কাজে লাগাবে সেভাবেই তার ফল পাবে। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে দেখবে সব কিছুর সাথেই তুমি খাপ খাওয়াতে পেরেছ। তাই খুব তাড়াতাড়ি হতাশ না হয়ে আরেকটু সময় দাও। দেখবে সময়ের সাথে সাথে সবই ঠিক হয়ে গিয়েছে। আর স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ ভুলে বন্ধুত্বের নির্মল সরলতাটাকে উপভোগ কর। আর যত পারো স্মৃতি তৈরি কর কারণ একসময় এই স্মৃতিই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডাঃ
ক্লাস ছুটির পর বাসায় গিয়ে পড়তে বসা/ টিউশনিতে না গিয়ে কিছুটা সময় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিবে। তাস খেলা শিখবে। বুড়ো বয়সে গিয়ে এটাই সবচেয়ে মিস করবে!
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্দেশক। তাদের কাছ থেকে নোট/ স্লাইড পাওয়ার আশা করে বসে থাকা উচিত না। এটা কোচিং সেন্টার না। এখানে তুমি কতটুকু পড়বে সেটা সিলেবাসে থাকে না। তুমি চাইলে নিজে নিজে পড়ে তোমার শিক্ষকের থেকেও ডিপ নলেজ পেতে পারো। তাই, নিজের জানার পরিধি কেবল ক্লাসের লেকচারে বেঁধে রেখো না। এমনকি কেবল নিজের সাবজেক্টে আটকে রেখো না। সব সায়েন্সের ব্রেক থ্রোর কথাই পড়বে। দিন শেষে যাতে একজন জ্ঞানী মানুষ হতে পারো।
অনুষ্ঠান উদযাপন করাঃ
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অন্যতম আনন্দের মুহূর্তগুলো হচ্ছে ফাল্গুন, বৈশাখ, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানগুলো। তাই, বাসায় বসে পহেলা বৈশাখের ছুটিতে সারাদিন না ঘুমিয়ে থেকে বরং বন্ধুদের সাথে নিজের ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ খোশ-গল্প করতে পারলে মন্দ হবে না।
ঘুরে দাঁড়ানো শেখাঃ
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে জীবনের কাছে যখন হেরে যাবা তখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সেটা শেখা। ব্যর্থতা অবশ্যই থাকবে। ফেল পরীক্ষায় না করলেও ব্যক্তিগত জীবনে তুমি অবশ্যই করবে। সেটা থেকে বের হয়ে আসার শিক্ষা অর্জন করতে পারলেই গর্ব করে নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করো।
সিনিয়রদের সাথে ভালো সম্পর্কঃ
সিনিয়রদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে অনেক সুবিধা (এমনি চাকরি-বাকরি) পাওয়া যায়। টিপস হলো, কোন সিনিয়রকে রাস্তায় একা পেলে ট্রিট চেয়ে বসবা। তবে, তোমার সাথে যদি আরো 10-12 জন থাকে তাইলে কোন লাভ নেই। সর্বোচ্চ 4-5 জন খাওয়ানো যায়।
সবশেষে বলা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সময়টুকু তোমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই সময়টুকু তুমি যেভাবে কাজে লাগাবে সেভাবেই তার ফল পাবে। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে দেখবে সব কিছুর সাথেই তুমি খাপ খাওয়াতে পেরেছ। তাই খুব তাড়াতাড়ি হতাশ না হয়ে আরেকটু সময় দাও। দেখবে সময়ের সাথে সাথে সবই ঠিক হয়ে গিয়েছে। আর স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ ভুলে বন্ধুত্বের নির্মল সরলতাটাকে উপভোগ কর। আর যত পারো স্মৃতি তৈরি কর কারণ একসময় এই স্মৃতিই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।